বিজ্ঞানের পক্ষে সচেতনতা, যোগাযোগ, দক্ষতা বিকাশে সাইন্স পোর্টার বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানের সুফল এবং বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার সম্পর্কে জনসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে এবং তরুণদের দক্ষতা বাড়াতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সাইন্স পোর্টার বাংলাদেশ’ যাত্রা শুরু হলো।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি, ২০২০) ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) এর সহযোগিতায় বিজ্ঞান যোগাযোগ ও লিডারশিপ স্কিল ডেভলপমেন্ট’ শীর্ষক দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘সাইন্স পোর্টার বাংলাদেশ’।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ আলমগীর কবির, পরিচালক, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র , জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, আ.স.ম. ফিরোজ-উল-হাসান, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও উপস্থিত ছিলেন ডঃ ফরিদ উদ্দিন, এক্সিকিউটি ডিরেক্টর, কটন ডেভেলপমেন্ট বোর্ড, এফএফবির উপদেষ্টা ডঃ জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস এবং ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ এর সিইও, মোহাম্মদ আরিফ হোসেন।
এছাড়া সাইন্স পোর্টার বাংলাদেশের সদস্যরা ছাড়াও বিশিষ্ট কৃষি বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, বিজ্ঞানী, এবং এফএফবির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক দশক ধরে, কৃষিতে বায়োটেকনোলজি খাদ্য মানের সাথে ফলনের পরিমাণ বাড়ানোতে এবং বিশ্বজুড়ে কৃষি উৎপাদনে ব্যয় হ্রাসে অভূতপূর্ব অবদান রাখছে।
বায়োটেকনোলজি পরিবেশগত এবং অর্থনৈতিক উভয় খাতেই স্থায়িত্ব বজায় রাখতে অবদান রাখছে। ‘এফএফবি’ বিশ্বাস করে যে তরুনদের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান এবং এর উদ্ভাবন গুলোর সাথে সাধারনের, মধ্যে এই চিন্তা ভাবনা্র প্রতিফলন হওয়া উচিত।
উন্নত জীবন নিশ্চিত করার জন্য, জ্ঞান-বিজ্ঞানের মাধ্যমে তরুনদের ক্ষমতায়ন, বিজ্ঞান ভিত্তিক কৃষি উদ্ভাবনের সাথে তাদের সম্পৃকতা এবং প্রমাণ ভিত্তিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার জন্য দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
অনুষ্ঠানটিতে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়কে নিয়ে আলোচনা করা হয়, যার মাঝে বিজ্ঞানভিত্তিক বার্তা জনসাধারনের কাছে পৌঁছানো, কৃষিতে বায়োটেকনোলজির ব্যবহার, এবং এর বিকাশে কাজ করতে তরুন সমাজ কিভাবে অবদান রাখতে পারে।
অংশগ্রহণকারীরা এসকল ব্যাপারে প্রকল্প পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়েনের জন্য প্রশিক্ষণের পাশাপাশি এই বিষয়গুলোর উপর ব্যবহারিক সেশনে যোগদান করেছিলেন।
বিজ্ঞান যোগাযোগের প্রসারে তরুনদের সম্পৃক্ত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এবং সাইন্স পোর্টার বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ডঃ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, “শিক্ষার্থীদের ক্ষমতায়ন এবং কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ এবং সুবিধাগুলি সম্পর্কে জনসাধারনদের সচেতন করার জন্য এ জাতীয় আরও অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন।
কটন ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর এক্সিকিউটি ডিরেক্টর ড. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ভবিষ্যতে ক্ষুধার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য জিএম ফসল অন্যতম সমাধান। কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য আমাদের মূল অংশীদারদেরকে সম্পৃক্ত করে পারশপারিক সহযোগিতা এবং সক্ষমতা অর্জনের মত কর্মসূচিতে আরও বাড়াতে হবে।
এফএফবির উপদেষ্টা ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “মানুষকে কেবল জিএম ফসল নিরাপদ বললেই হবে না। মানুষকে বুঝতে হবে কিভাবে এবং কেন একটি ফসলকে জিএম ( জেনেটিকালি মডিফাইড) বলা হয়।
অতএব, তাদেরকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আমাদের সহায়তা করা দরকার যাতে তারা একটি বস্তুনিষ্ঠ সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এফএফবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং নির্বাহী পরিচালক মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে নিরাপদ এবং টেকসই খাদ্য সুরক্ষার জন্য আধুনিক কৃষি উদ্ভাবনের সুবিধা সম্পর্কে জনসাধারণের ধারণাকে আরও সঠিকভাবে পৌছাতে যথাযথ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ (এফএফবি) এর মূল লক্ষ্য বাংলাদেশে খাদ্যশস্য উৎপাদনে জৈবপ্রযুক্তি সহ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি বিষয়ক সচেতনতা বাড়ানো।
বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে যুক্তরাষ্ট্রের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কর্নেল অ্যালায়েন্স ফর সাইন্স’ এর পৃষ্ঠপোষকতায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ।
বিজ্ঞানের পক্ষে সচেতনতা, যোগাযোগ, দক্ষতা বিকাশে সাইন্স পোর্টার বাংলাদেশ’র যাত্রা শুরু সংবাদটির তথ্য ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।